কিন্তু শনিবার রোজার প্রথম দিনে মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে এলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সংক্রমণ প্রতিরোধে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে মুসল্লিদের মসজিদে ছুটে যেতে দেখা গেল না। রাস্তাঘাটে বয়োবৃদ্ধ থেকে শুরু করে ছোট্ট শিশুটিকে বাবার হাত ধরে মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ল না। ফজরের নামাজ ঘরে পড়ে মসজিদে নামাজ পড়তে না যেতে না পারার কষ্ট নিয়ে কুরআন তেলাওয়াত করতে বসলেন অনেকে।
বছর ঘুরে আজ থেকে শুরু হলো পবিত্র রমজান মাস। শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে হঠাৎ করেই নগরবাসী ঘুম থেকে জেগে উঠলেন। বিভিন্ন বাসাবাড়িতে সেহরি খাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রতিবছর রমজান শুরুর প্রথম দিনটিতে ধনী-গরিব নির্বিশেষে পরিবারের ছোটবড় সবার মাঝে যে ধরনের উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করে সেই আমেজ আজ ছিল না।
করোনার কারণে এবার এই প্রথম মুসল্লিরা প্রথম রোজা রাখার নিয়ত মসজিদে গিয়ে তারাবিহ নামাজ পড়তে পারেনি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে রাজধানীর মসজিদগুলোতে খুবই সীমিত সংখ্যক-মাত্র ১২ জন মুসল্লির অংশগ্রহণে তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দা মাঈনুদ্দিন বলেন, ‘বুঝতে শেখার পর থেকে কোনোদিন মসজিদ ছাড়া তারাবিহ নামাজ পড়িনি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারের নির্দেশনা মেনে বাসায় নামাজ পড়েছি। তাই মনটা খারাপ।
সূত্র: জাগো নিউজ