নুর হাকিম আনোয়ার,টেকনাফ []
আগামী ১০ নভেম্বর থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে। আজ ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ এর স্মারক নং-১৮.১১.০০০০.১২৩.৩১.৩৩১.১৯/১৬১০ মূলে বে অফ বেঙ্গল গ্রুপ
ট্যুরিজম এর এমভি ফারহান জাহাজ (এম-৭০২০) অনুমতির মেয়াদ অনুযায়ী ৪ নভেম্বর হতে ২৭ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত জাহাজ চলাচলের অনুমতি পেয়েছে।
এমভি ফারহান জাহাজটি প্রতিদিন টেকনাফ জেটি থেকে সাড়ে ৯টায় ছেড়ে গিয়ে দুপুর ১২.১৫ মিনিটেই সেন্টমার্টিন পৌঁছে এবং সেন্টমার্টিন জেটি থেকে বিকেল ৩.২৫ মিনিটেই ছেড়ে ৫.৩৫ মিনিটেই পৌছার সে শর্তে অনুমতি দিয়েছেন। পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারী চলমান থাকাকালীন এর স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রটোকল মান্য করে যাত্রী পরিবহন নিশ্চিত করতে হবে।
চলাচলের অনুমতির বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ এর উপ-পরিচালক (নৌনিট্টা), নৌ-নিট্ট্রা ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বাআনৌপক,ঢাকা মোঃ মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে ৪ নভেম্বর হতে ২৭ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত জাহাজ চলাচলের শর্তে
জেলা প্রশাসক কক্সবাজার, পুলিশ সুপার কক্সবাজার, পরিচালক বন্দর/নৌ-সওপ বিভাগ ঢাকা, উপ-পরিচালক (বওপ) চট্টগ্রাম, অধিনায়ক ২বিজিবি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ষ্টেশন কমান্ডার কোস্টগার্ড টেকনাফ, অফিসার ইনচার্জ টেকনাফ মডেল থানা, পরিবহন পরিদর্শক টেকনাফ নদী বন্দর বরাবর অনুলিপি প্রেরণ করেছেন।
এদিকে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শুরু থেকে এ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হলেও এবার একটু দেরি হয়েছে।
ঝুঁকি এড়াতে বিগত বছরের জাহাজ গুলোতে যেভাবে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকতেন এ বছরও সেই ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন দেশী-বিদেশী পর্যটকরা।
এব্যাপারে সেন্টমার্টিন দ্বীপের একজন ব্যবসায়ী বলেন, ঠিক সময়ে এ বছর জাহাজ চলাচলের অনুমতি না দিলে পর্যটন শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এতে বেকার হয়ে পড়তো পর্যটনের সঙ্গে জড়িত অন্তত লক্ষাধিক মানুষ।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শুরুতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচলের মধ্য দিয়ে পর্যটন মৌসুম শুরু হয় সেন্টমার্টিনে। এপ্রিল-মে মাস পর্যন্ত জাহাজগুলো চলাচল করে। এরপর বর্ষার পুরো সময়টা জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকে।
বুকিং দিতে আজই যোগাযোগ করুন
01781165269